- একটি ধ্বংসাত্মক মহাপাপহযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বর্ণনা করেছেন যে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সকল উম্মতকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন اجْتَنِبُوا السَّبْعَ الْمُوبِقَاتِ অর্থ তোমরা সাতটি ধ্বংসাত্মক মহাপাপ থেকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকবে। যেকোনো কাবিরা গুনাহ মহাপাপ এই জাতীয় জিনিসগুলোই মানুষকে ধ্বংস করে তার দুনিয়া ও আখেরাত ধ্বংস করে। কিন্তু এই কাবিরা গুনাহ এর মধ্যেও আবার বিশেষ সাতটি কবিরা গুনাহ রয়েছে যার একটি হলো مهلكات (মোহলিকাত) নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নবী পথ প্রদর্শক, আমরা তার উম্মত যে কারণে তিনি আমাদেরকে গুনাহ থেকে বিরত থাকতে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। কারণ তিনি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের এই… Read more: একটি ধ্বংসাত্মক মহাপাপ
- স্বপ্নের কথা কাউকে বলা যাবে কি নাস্বপ্ন বা আরবীতে যাকে বলা হয় خواب আমরা সচরাচর ঘুমাইলে আমাদের ঘুমের মধ্যে যে আচরণ বা কর্মকান্ড গুলো আমরা দেখে থাকি তাকেই আমরা সাধারণত স্বপ্ন বা خواب (খোয়াব) বলে থাকি স্বপ্নের আরেকটি আরবি শব্দ আছে যেটাকে الحام বলা হয়। প্রত্যেকটি স্বপ্নও তার কিছু নির্দিষ্ট কারণ বহন করে আমরা বুঝি আর না বুঝি। তবে যে সমস্ত স্বপ্নের কথা কাউকে বলা যাবে না সেগুলো আজ আমি আপনাদের জ্ঞানের সমৃদ্ধির জন্য আলোচনার চেষ্টা করব। পবিত্র কোরআনের মধ্যে সূরা ইউসুফ এর তিন নাম্বার আয়াতে আল্লাহতালা বলেনنَحْنُ نَقُصُّ عَلَيْكَ أَحْسَنَ ٱلْقَصَصِ بِمَآ أَوْحَيْنَآ إِلَيْكَ هَـٰذَا ٱلْقُرْءَانَ وَإِن كُنتَ مِن قَبْلِهِۦ لَمِنَ ٱلْغَـٰفِلِينَ ٣হে নবী আমি… Read more: স্বপ্নের কথা কাউকে বলা যাবে কি না
- একিন বা বিশ্বাসের একটি ঘটনাএকটি ইসলামিক শিক্ষনীয় ঘটনা বর্ণনা করার চেষ্টা করব আশা করি সকলের ভালো লাগবে ইনশাল্লাহ। বহু বছর আগে একজন প্রতাপশালী বাদশা ছিল যিনি তার জামানায় এখনকার বিশ্বনেতাদের মতো পরাশক্তি। যেমন নাকি ওই আসহাবে কাহাফ এর বাদশাহ, যেমন নাকি ওই নমরুদ ছিল, যেমন নাকি ওই ফেরাউন ছিল। এদের মত একজন প্রতাপশালী বাদশা ছিলেন। তার অধীনে একজন বড় জাদুকর ছিল। এই যাদু বিষয়টা যদিও আমরা এখন অতিরিক্ত গুরুত্ব দেই না তবে অতীতে এটি একটি অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। যদিও যাদুবিদ্যা এখনো আমাদের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে এবং একশ্রেণীর মানুষ এখনো এটির চর্চাও করেন। তবে সেটা জন সম্মুখে নয়। বর্তমান এইসব বিষয়গুলো অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে… Read more: একিন বা বিশ্বাসের একটি ঘটনা
- রিজিক বৃদ্ধির শ্রেষ্ঠ আমলরিজিক আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সৃষ্টি করার পরে প্রত্যেককে তার নির্ধারিত রিজিক দিয়ে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন কিন্তু সেক্ষেত্রেও অনেক সময় কিছু শর্ত বা কিছু আমল আল্লাহর দরবারে করতে হয় যাতে করে তিনি আমাদের সেই রিযিক এর মধ্যে বরকত দেন। রিজিক কাকে বলে….? আমরা অনেকেই মনে করি যে শুধুমাত্র খাদ্যদ্রব্য অর্থাৎ যে সমস্ত জিনিস খাওয়া যায় ঐ সকল জিনিস গুলোকেই রিযিক বলে। মূলত বিষয়টি এমন নয় রিজিক মানে শুধুমাত্র খাওয়া ও পান করাই নয়। রিজিক বলা হয় ধন-সম্পদ আর্থিক স্বচ্ছলতা ও আমাদের নিত্যদিনে জীবনের প্রয়োজনীয় যে সকল জিনিস রয়েছে সকল কিছুই রিজিকের সংজ্ঞার মধ্যে আসে। তাই আমাদের মনে রাখতে হবে শুধু খাবার… Read more: রিজিক বৃদ্ধির শ্রেষ্ঠ আমল
- ধনী হওয়া সম্পদশালী হওয়ার আমলআল্লাহ তায়ালা পৃথিবীর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হিসেবে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তবে প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যে ভালো ও খারাপ ইত্যাদি গুণ রয়েছে। মানুষ হিসেবে প্রত্যেকের চাহিদাও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে তবে মানুষ দেখতে যদিও বা কেউ কালো কেউ ফর্সা কেউ ছোট কেউ বড় বিভিন্ন আকৃতির বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে কিন্তু সকলেই মানুষ আর সকলেই আল্লাহর সৃষ্টি কুলের সর্বশ্রেষ্ঠ। পৃথিবীতে মানুষ যদিও ক্ষণস্থায়ী ভাবে বসবাস করছে কিন্তু আমরা অনেকেই পরকাল এর চেয়ে ইহকালকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। কিন্তু প্রত্যেকের চাহিদা অনুযায়ী টাকা-পয়সা ধন-সম্পদ ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণে প্রয়োজন হয়ে থাকে। আমাদের সৃষ্টিকর্তা, রিজিকদাতা যেহেতু একমাত্র আল্লাহ তাই আমাদের সকল চাওয়া একমাত্র আল্লাহর নিকট থেকেই… Read more: ধনী হওয়া সম্পদশালী হওয়ার আমল
- বিপদ আপদ থেকে মুক্তির শ্রেষ্ঠ দোয়াআমরা মানুষ সকলেই এক আল্লাহর এবাদত করি এবং আমাদের সকলের সৃষ্টিকর্তা রিজিকদাতা এক তিনি আমাদের সকল ভাল মন্দ বিষয়ে সঠিক জ্ঞান রাখেন কিন্তু আমরা মানুষ আমাদের দ্বারা ভুল হয়ে যায় অনেক সময় অনেক জিনিস যেটা আমাদের মনে হয় যে আমাদের জীবনে অনেক ক্ষতি হয়ে গেল বা কোন একটি বিপদ যদিও সে বিষয়ে আল্লাহ ভালো জানেন সেটি আমার জন্য ভালো কি মন্দ তারপরেও আমরা যেহেতু গায়েবের খবর রাখি না তাই অনেক সময় আমাদের জীবনে ঘটে যাওয়া অনেক বিষয়কে আমরা বিপদ মনে করে থাকি তাই আজ একটি আমলের কথা সকলের জানার জন্য বলবো যে আমলটি করলে আমল কারী ব্যক্তির যে ক্ষতিটা হয়েছে… Read more: বিপদ আপদ থেকে মুক্তির শ্রেষ্ঠ দোয়া
- নফল রোযার নিয়মমানুষের জীবনে মানুষ বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে সেটা হতে পারে চলাফেরার দিক দিয়ে হতে পারে আচার ব্যবহারের দিক দিয়ে আবার এমনও হতে পারে যে শারীরিক গঠনের দিক দিয়ে আমরা আমাদের জীবনে যতরকম মানুষ দেখি না কেন যতটাই পার্থক্য আমাদের কাছে মনে হোক না কেন কিন্তু বাস্তবিক অর্থে একদিক থেকে চিন্তা করলে আমরা সকলে প্রায় একই হলো আমরা সকলেই মানুষ আসলে যে কালো সেও মানুষ যে ফর্সা সেও মানুষ যে বড় সেও মানুষ যে ছোট সেও মানুষ। তাই আমরা যে যেমনই হয় না কেন সকলের আত্মার শান্তি মনের শান্তির একমাত্র পথ সেটা হলো আল্লাহর ইবাদত আল্লাহর নৈকট্য। যদি আমরা আল্লাহর ইবাদত… Read more: নফল রোযার নিয়ম
- তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও নিয়তমহান আল্লাহ তাআলার একটি ফরজ বিধান হল পাঁচ ওয়াক্ত সালাত এই পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের পর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং নফল নামাজের মধ্যে সবথেকে অধিক মূল্যবান নামাজ হলো তাহাজ্জুতের নামাজ। যদিও আমাদের মধ্যে এটার বর্তমানে খুব একটা বেশি প্রচলন নেই তবে এটি একটি অধিক গুরুত্বপূর্ণ আমল এবং ফরজ নামাজের পর যে নামাজটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হল তাহাজ্জুতের নামাজ। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনের মধ্যেও নাম ধরে আলাদা করে এই নামাজের কথা উল্লেখ করেছেন পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তা’আলা বলেছেন ومن الليل فتحجد به نافله لك পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ এবং আবশ্যিক নামাজ এর বাইরে ও রসূল আপনি রাতের কিছু অংশ দাঁড়িয়ে সালাত আদায়… Read more: তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও নিয়ত
- প্রকৃত আল্লাহর বান্দা কারাপ্রকৃত আল্লাহর বান্দা যারা হবে তাদের মধ্যে কিছু বিশেষ গুণ বিশেষ আচরণ পরিলক্ষিত হবে যার কারণেই তারা আল্লাহর প্রকৃত বান্দা আসলে আমরা সকলেই তো আল্লাহর বান্দা তবে আমাদের চলাফেরা আচার-আচরণ ও ইবাদতের পার্থক্যের কারণে আমরা কিছুটা অন্যরকম। যারা প্রকৃত আল্লাহর বান্দা হবে তারা তো আল্লাহর সকল বিধি নিষেধ পালন করবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু আমাদের বর্তমান যে অবস্থা আমরা অনেক সময়ই মুখে স্বীকার করি যে আমরা এক আল্লাহর ইবাদত করি এক আল্লাহর বান্দা কিন্তু আমাদের আচার-আচরণে সেটি প্রকাশ পায় না কিছু গুণ তুলে ধরার চেষ্টা করব যে গুণগুলো আপনার মধ্যে থাকলে বা যে আমলগুলো আপনার মধ্যে পরিলক্ষিত হলে আপনি প্রকৃত আল্লাহর… Read more: প্রকৃত আল্লাহর বান্দা কারা
- ইস্তেখারা নামাজের নিয়ম ও দোয়াআসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। সম্মানিত প্রিয় পাঠক আজকে আমরা আলোচনা করব ইস্তেখারা নামাজের নিয়ম ও দোয়া সম্পর্কে। প্রথমেই আমরা জানব ইস্তেখারা জিনিসটা কি এবং কোন সময় এটি পালন করতে হয় বা আমল করতে হয়। আমাদের নবী প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে বা কোন কাজ সম্পাদন করার পূর্বে ইস্তেখারা এর নামাজ পড়তেন যাতে করে আল্লাহর সাহায্যে উক্ত কাজটি সম্পাদন করা সহজ হয় এবং উক্ত কাজটি করা না করা বা কেমন করে করলে সেটার ভালো ফল পাওয়া যাবে সকল বিষয়ে আল্লাহর থেকে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া এই উদ্দেশ্যে তিনি ইস্তেখারা এর নামাজ আদায় করতেন। এবং তিনি সাহাবীদেরকে… Read more: ইস্তেখারা নামাজের নিয়ম ও দোয়া
- যে কারণে আমল কবুল হয় নাআসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। মানুষ দুনিয়াতে যে সকল কর্মগুলো করে থাকে ইসলামী পরিভাষায় সেগুলোকে আমল বলে। আর ভালো এবং শতকর্মকে ভালো আমল বলে বা নেক আমল বলে এবং অসৎ ও খারাপ কাজকে খারাপ আমল বা বদ আমল বলে। আর কোন আমলের গ্রহণযোগ্য তাকে কবুল বলা হয়। কিন্তু আমরা যেহেতু মানুষ তাই আমাদের মধ্যে দুই শ্রেণীর মানুষই পাওয়া যায় যেমন কিছু আমরা নেক আমল করি এবং কিছু আমরা আছি যারা বদ আমল করি আর কিছু এমনও আছে যারা নেক আমল বদ আমল দুটোই করি। তাই আল্লাহর কাছে আমাদের নেক আমল গুলো গ্রহণ হয় বা গ্রহণযোগ্যতা পায় আর বদ আমলগুলো গ্রহণ হয়… Read more: যে কারণে আমল কবুল হয় না
- যে সকল কারণে দোয়া কবুল হয় নাসৃষ্টির সেরা জীব মানুষ আর তাদের একমাত্র স্রষ্টা আল্লাহ তাই তারা শুধুমাত্র এক আল্লাহর ইবাদত করবে এবং তার বড়ত্ব ও মহত্ব প্রকাশ করবেন তিনি যে বিধি-বিধানগুলো দিয়েছেন অর্থাৎ তার আদেশ গুলোকে পালন করবে এবং তার নিষেধ গুলোকে বর্জন করে চলবে এটাই সাধারণত মানুষের কাজ হওয়া উচিত। যদিও আমরা বর্তমান নামধারী মুসলমান হয়ে গেছি আল্লাহর ইবাদত যেভাবে করা উচিত আমরা কখনোই সেভাবে করতে পারিনা আর সেটার জন্য আমরা কোন প্রকার আফসোসও করি না কারণ আমাদের ঈমান এখন খুবই দুর্বল আমরা মুখে মুখে বলি যে এক আল্লাহ আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন আমরা তার ইবাদত করি এবং তার আনুগত্য করি কিন্তু বাস্তবে আমরা সম্পূর্ণভাবে… Read more: যে সকল কারণে দোয়া কবুল হয় না
- মানুষ জুলুমের বদলা দুনিয়াতেও পাবেআসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আজকের আলোচনার বিষয় জুলুম সম্বন্ধে জুলুম অন্যায় অবিচার এ সম্বন্ধে ইসলাম কি বলে ইসলামে এর শাস্তি কি এ সম্পর্কে আজকে সংক্ষিপ্ত কিছু বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরব ইনশাআল্লাহ। অন্যায় ভাবে কারো প্রতি জুলুম করা কারো প্রতি অবিচার করা নিজের প্রভাব প্রতিপত্তি দেখানো যে কাউকেই দুর্বল পেয়ে তার প্রতি চরম হওয়া কাউকে অন্যায় ভাবে ঠকিয়ে তার সাথে অবিচার করা এই সকল কিছুর শাস্তি আখেরাতে তো আছেই দুনিয়াতেও আল্লাহ তায়ালা এর শাস্তি যারা এ কাজগুলো করে থাকে তাদেরকে দিয়ে থাকেন। আমরা একটু লক্ষ্য করলেই পূর্বের ইতিহাস থেকে বুঝতে পারি যে পৃথিবীতে এমন কোন জালেম নাই এমন কোন অত্যাচারী… Read more: মানুষ জুলুমের বদলা দুনিয়াতেও পাবে
- পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সময় যে সময়ে আল্লাহ তায়ালা আসমানের দরজা খুলে দেনআসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ এবং আল্লাহ তাআলা জিন এবং মানুষকে একমাত্র তার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। এবং মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের প্রতিপালক তিনি এক এবং অদ্বিতীয় আমাদের সকল চাওয়া পাওয়া তার নিকট হইতেই আসে, আর ঠিক এই কারণেই আমরা এক আল্লাহর আনুগত্য করব এবং আমাদের যত প্রয়োজন আছে যত চাওয়া পাওয়া আছে সবকিছু আল্লাহর কাছে তুলে ধরব এটাই নিয়ম। আমরা বিভিন্ন সময় আমাদের বিভিন্ন চাওয়া পাওয়া আল্লাহর নিকট তুলে ধরি অনেক সময় এমন হয় যে আমি যা চাইতেছি সেটা হচ্ছে না এটার তিনটি কারণ হতে পারে প্রথম আমার চাওয়ার মধ্যে কোন ত্রুটি রয়েছে। দ্বিতীয় হয়তো আমি… Read more: পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সময় যে সময়ে আল্লাহ তায়ালা আসমানের দরজা খুলে দেন
- যে দুটি পাপ করলে তাহাজ্জুতেও দোয়া কবুল হয় নাআসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ! আজ যেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হল এমন দুইটি পাপ যেটি করার কারণে তাহাজ্জুদ নামাজ এর সময় দোয়া করলেও দোয়া কবুল হয় না। দোয়া এমন একটি জিনিস যেটি আমাদের সকলের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আমরা এক আল্লাহর ইবাদত করি এবং তার কাছেই আমাদের সকল চাওয়া পাওয়া তুলে ধরি এই দোয়ার মাধ্যমে কিন্তু যদি আমার এই দোয়া কবুল না হয় তাহলে আল্লাহর কাছে আমার আপনার যে চাওয়া পাওয়া গুলো রয়েছে সেগুলোর কিছুই সম্ভব না। কারণ মহান আল্লাহ তাআলাই এমন একজন স্রষ্টা এমন একজন প্রতিপালক যে তিনি ব্যতীত অন্যকেও আমাদেরকে আমাদের সকল প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুলো দিতে পারেন না।… Read more: যে দুটি পাপ করলে তাহাজ্জুতেও দোয়া কবুল হয় না
- দোয়া কবুলের পাঁচটি শর্তসৃষ্টির সেরা জীব মানুষ আল্লাহ তাআলা মানুষকে সৃষ্টির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বলে ঘোষণা করেছেন এবং আল্লাহ তায়ালা জিন এবং মানুষকে একমাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। এবং প্রত্যেকটি ইবাদতের ক্ষেত্রে হালাল উপার্জন প্রত্যাবর্ষকীয়। হালাল অপরজন ভক্ষণ করলে আমরা আল্লাহর কাছে যা চাইবো আল্লাহ তায়ালা খুব দ্রুতই সেটি দান করবেন এবং আমাদের দোয়াকে কবুল করবেন। আজ আমরা জানবো দোয়া কবুলের জন্য পাঁচটি শর্ত। এই পাঁচটি শর্ত যদি কারো মধ্যে পাওয়া যায় তাহলে মুহূর্তেই তার দোয়া কবুল হবে ইনশাআল্লাহ। প্রথম শর্ত: اكل الحلال হালাল খাওয়া, বর্তমান সময়ে আমরা এই বিষয়টি একেবারেই গুরুত্ব দেই না কিন্তু এটি সকল এবাদতের করবে প্রয়োজনীয়। আমরা কিছু কিছু… Read more: দোয়া কবুলের পাঁচটি শর্ত
- হারাম উপার্জনের কিছু ক্ষতিহালাল ও হারাম এই দুইটি বিষয় এমন যেমনটি কোন বিষয়ে আদেশ ও নিষেধ বলতে আমরা বুঝি হালাল ও হারাম এটি আর আরবি শব্দ হালাল শব্দের অর্থ হলো অনুমোদন যোগ্য। এর বিস্তারিত বলতে গেলে হালাল শব্দের অর্থ হলো যেকোনো বস্তু বা কর্ম যেটাকে ইসলামী আইন অনুযায়ী ব্যবহার বা নিয়োজিত করা যাবে অথবা আদেশ করা হয়েছে সেগুলোকে হালাল বলে। হারাম হারাম আরবি শব্দ। এবং এটি একটি ইসলামের পরিভাষা। এই শব্দ দ্বারা নিষিদ্ধ কাজ কে বোঝানো হয় ইসলামী আইন অনুযায়ী মন্দ কাজ সমূহের মধ্যে যে সমস্ত কাজগুলি ইসলামে হারাম বলা হয়েছে সেগুলি অত্যন্ত গুরুতর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। হারাম উপার্জন এটি মানুষের অত্যন্ত… Read more: হারাম উপার্জনের কিছু ক্ষতি
- ১৩ শ্রেণীর মানুষের কোন ইবাদত কবুল হয় নামহান রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন একমাত্রই তার ইবাদতের জন্য যদিও আমরা মানুষ দুনিয়াতে এসে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভাবি শুধুমাত্র ইবাদত ছাড়া কিন্তু মূলত আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন তার ইবাদত ও তার বড়ত্ব প্রকাশ করার জন্য। যদিও আমরা আল্লাহ তায়ালার ইবাদত যতটুকু করার দরকার ততটুকু করতে পারিনা এরপরেও যতটুকুই করি এটাও যদি আল্লাহর কাছে কবুল না হয় তাহলে কিয়ামতের দিন আমরা বড়ই বিপদে পড়বো তাই জানা দরকার যে কে বা কাদের এবাদতগুলো আল্লাহর কাছে কবুল হয় না তাই আজ তেরশ শ্রেণীর মানুষ যাদের ইবাদত কবুল হয় না সে সম্পর্কে কিছু ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করব। মনে রাখতে হবে… Read more: ১৩ শ্রেণীর মানুষের কোন ইবাদত কবুল হয় না
- সুরা মুলক এর ফজিলতসূরা মূলক যেটি পবিত্র কুরআনের ২৯ নাম্বার পাড়া এর শুরু এবং সূরার দিক থেকে ৬৭ নাম্বার সিরিয়াল এবং হেফজুল কোরআন এর ৫৬৩ নাম্বার পৃষ্ঠা। সূরা মুলক এর প্রথম আয়াত হলো تَبَـٰرَكَ ٱلَّذِى بِيَدِهِ ٱلْمُلْكُ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍۢ قَدِيرٌ সুরা মুলকের অনেক ফজিলত রয়েছে তার মধ্যে কিছু ফজিলত তুলে ধরার চেষ্টা করছি। সুরা মুলক পাঠের প্রথম ফজিলত হল এই সূরা যে ব্যক্তি রাত্রেবেলা পাঠ করবে সুরা মুলক তার সাথে কবরেও থাকবে। এবং কবরের আজাব থেকে তাকে বাঁচাবে। এবং দুইজন ফেরেশতা যখন তার কাছে আসবে তখন নামাজ বলবেন এইখান দিয়ে আসা যাবেনা ডান দিক দিয়ে আসতে চাইবেন তখন আবার বলবেন আসা… Read more: সুরা মুলক এর ফজিলত
- একশ্রেণীর মানুষ আছে যারা কিয়ামতের দিন অধিক নিকৃষ্ট বলে গণ্য হবেপবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা’আলা কিছু আয়াতের মাধ্যমে এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন।আমি সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। এই সমস্ত ব্যক্তিদের যে গুণগুলো আমরা দুনিয়াতে সাধারণত দেখতে পাই তার মধ্যে একটি হলো নির্দয় হওয়া। কিছু কিছু মানুষ আছে যারা অপরিহিত ব্যক্তি তো দূরেই থাক তার নিজের নিকটস্থ ব্যক্তি যারা আছে পরিবার পরিজন আত্মীয়-স্বজন ছেলে মেয়ে এমনকি বাবা-মাকেও ছাড়ে না প্রত্যেকের সাথেই খারাপ ব্যবহার করে থাকে আপনি নিজেও চিন্তা করলে পাবেন এমন কিছু ব্যক্তি যা আপনার সাথে ওঠাবসা করে আপনার আশেপাশে রয়েছে কিন্তু আপনার কেন জানি তাকে ভালো লাগে না আপনি তাকে দেখলেই বুঝতে পারেন বা আরো অন্যরা কেউ দেখলেই বলে যে ওর সাথে… Read more: একশ্রেণীর মানুষ আছে যারা কিয়ামতের দিন অধিক নিকৃষ্ট বলে গণ্য হবে
- এমন চারটি আমল যার বদৌলতে যে কোন বিপদ থেকে অলৌকিকভাবে উদ্ধার পাওয়া যায়এমন চারটি আমল যেটা আপনাকে এইভাবে উপকার করবে যে আপনার যদি মনে হয় একদম দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে অর্থাৎ আপনি একদম নিরুপায় নিঃসহ এমত অবস্থায়ও যদি কেউ এই চারটি আমল করতে পারে তাহলে যে কোন বিপদ থেকে উদ্ধার পাবে এবং তার যে কোন চাওয়া পাওয়া আল্লাহ তাআলা পূরণ করবেই ইনশাআল্লাহ। হ্যাঁ এরপরেও যদি কখনো কারো কোন কিছু অপূর্ণ থেকে যায় তাহলে এটা মনে করা যে হয়তো আমার আমলের মধ্যে কোন কমতি থেকে গেছে অথবা আল্লাহ তাআলার কাছে আমি যা চাইতেছি সেটা না পাওয়ার মধ্যেই আমার মঙ্গল রয়েছে। আসলে আমাদের ভালো-মন্দ সবকিছুই তো আল্লাহ এর থেকে বেশি কেউ জানে না তাই… Read more: এমন চারটি আমল যার বদৌলতে যে কোন বিপদ থেকে অলৌকিকভাবে উদ্ধার পাওয়া যায়
- কিছু এমন ভুল যেগুলো অযুর সময় আমরা করিইবাদতের ক্ষেত্রে পবিত্রতা যেমন জরুরী তেমনি ভাবে পবিত্র হওয়ার জন্য ওযু জরুরী আমরা অনেকে এমন আছি ওজু করি কিন্তু কিছু এমন ভুল করে ফেলি যার কারণে আমাদের ওযু সম্পন্ন হয় না আর যদি ওযু সম্পূর্ণ না হয় তাহলে আমাদের এবাদত ও অসম্পূর্ণ থেকে যায় যেহেতু নামাজের জন্য পবিত্রতার জন্য ওযু শর্ত তাই অযুর সময় আমাদের অবশ্যই লক্ষ্য রাখা উচিত। সচরাচর আমরা প্রায় সকলেই এই কমন ভুলটি করে থাকি যেটা হল ওযুর সময় বিসমিল্লাহ না বলা এটা প্রায় আমরা সকলেই করে থাকি অনেকে এমন করেন ওযু খানায় বসে কারো সাথে কথা বলতে বলতে ওযু করতে শুরু করেন এবং অজু করেন অন্য… Read more: কিছু এমন ভুল যেগুলো অযুর সময় আমরা করি
- ফরজ গোসলের সঠিক নিয়মফরজ গোসল বলতে বলা হয় যে সকল কারণে গোসল ফরজ হয়ে যায় সে সমস্ত গোসল কেই ফরজ গোসল বলা হয়। গোসল ফরজ হলে সর্বপ্রথম করণীয় হলো আপনি যখন বাথরুমে বা গোসল খানায় ইত্যাদি যেখানেই হোক গোসলে যাবেন তখন সর্বপ্রথম আপনার কাপড়ে এবং আপনার শরীরে যে জায়গায় নাপাকি লেগেছে সেটা প্রথমে পরিষ্কার করে নেওয়া। যদি আপনি জানেন যে আমার অমুক জায়গায় নাপাকি লেগেছে সেটা প্রথমে পরিষ্কার করে নেবেন। এরপরে নামাজের জন্য আমরা যেভাবে অজু করি সেভাবে অজু করা। কিন্তু শুধু পা ধোয়াটা বাকি রাখা। এরপর ওযু করার পরে আপনি গোসল করেন, সেটা আপনার শাওয়ার দিয়ে গোসল হতে পারে বা মগ দিয়ে… Read more: ফরজ গোসলের সঠিক নিয়ম
- নাপাক কাপড় পবিত্র করার পদ্ধতিযেহেতু বিভিন্ন ইবাদতের ক্ষেত্রে মুসলমানদেরকে পবিত্র থাকার জন্য বলা হয়েছে বিশেষ করে অপবিত্র অবস্থায় যেহেতু নামাজ হয় না তাই পবিত্র হয়ে পবিত্র কাপড় পরিধান করে নামাজ আদায় করতে হয় সেক্ষেত্রে অনেক সময় কোন না কোন ভাবে কিছু নাপাকি কাপড়ের লেগে যায় এমত অবস্থায় কাপড় পবিত্র করার পদ্ধতিটি কেমন হবে। যদি কোন কাপড়ে নাপাকি লেগে যায় সেটা প্রস্রাব হতে পারে, পায়খানা হতে পারে, বা এই জাতীয় যেকোন নাপাকি জিনিস হতে পারে যে জায়গাটায় না পার্টি লেগেছে সেই জায়গাটা থেকে নাপাকিটা দূর করে দিলে কাপড়টি পবিত্র হয়ে যাবে। কথার কথা আপনার কোন কাপড়ে মল লেগেছে তাহলে কাপড়ের চেয়ে অংশে আপনার এই নাপাক… Read more: নাপাক কাপড় পবিত্র করার পদ্ধতি
- কাপড়ে কতটুকু নাপাক লাগবে তা নাপাক হয়আমরা যারা মুসলিম আছি আমাদের ধর্মের কিছু বিধি-বিধান আদেশ-নিষেধ রয়েছে এর মধ্যে পাক-পবিত্র এটি একটি বিধান। আমরা সকলেই জানি যে পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ আর পবিত্রতা ছাড়া অপবিত্র অবস্থায় আমরা যতই নামাজ পড়ি না কেন নামাজ হবে না এজন্য আমাদের সকলের পবিত্র থাকা জরুরী। কিন্তু কিছু কিছু এমন সময় বা কিছু এমন অবস্থা আছে যে সময় কিছুটা নাপাকি থাকলেও নামাজ পড়া জায়েজ হয় আজকে সে অবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। আপনার কাপড়ে কতটুকু নাপাকি লাগলে শরীর নাপাক হয়ে যাবে এবং এই অবস্থায় নামাজ পড়া যাবে কি-না…? এক্ষেত্রে বলা যেতে পারে যে, যে সকল নাপাকি দৃশ্যমান যেমন মদ, রক্ত, পায়খানা ইত্যাদি যদি… Read more: কাপড়ে কতটুকু নাপাক লাগবে তা নাপাক হয়
- বেশি বেশি ইস্তেগফার পড়ার পাঁচটি লাভমানুষ সৃষ্টির সেরা জীব আর এই সৃষ্টির সেরা জীবকে আল্লাহ তা’আলা সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদত ও তার বড়ত্ব প্রকাশ করার জন্য এবং তার সকল আদেশ নিষেধ বিধি-বিধান মেনে চলার জন্য। এরপরও শয়তান যেহেতু সর্বদাই মানুষের ক্ষতি করার জন্য মানুষকে গুনাহে লিপ্ত করার জন্য তার পেছনে লেগেই থাকে এই কারণে মানুষ শত চেষ্টা করলেও কিছু না কিছু ভুল করেই ফেলে। তাই আল্লাহর কাছে আমাদের ক্ষমা চাইতে হবে ইস্তেগফার পড়তে হবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু ইস্তেগফারের এমন বিশেষ কয়েকটি লাভ আছে যা আপনি জানার পরে অবশ্যই সর্বদাই চেষ্টা করবেন এটির উপরে আমল করার। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) বলেছেন সর্বদাই বান্দা তার… Read more: বেশি বেশি ইস্তেগফার পড়ার পাঁচটি লাভ
- এমন চারটি আলামত যা থাকলে বুঝবেন আল্লাহ আপনাকে ভালোবাসেসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ! প্রিয় পাঠক আমরা মুসলিম মাত্রই আল্লাহর সকল আদেশ-নিষেধ এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি সর্বদাই আমরা চাই এবং আমরা এটাও চাই যে আল্লাহ আমাদের উপর সন্তুষ্ট থাকুক খুশি থাকোন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দ্বারা বর্ণিত অসংখ্য আলামতের মধ্যে চারটি এমন আলামত আজ আমরা জানবো যা দেখে আপনি বুঝবেন যে আল্লাহ আপনাকে ভালোবাসেন। হযরত রাসূলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণিত তিনি একটি হাদিসে বলেন যখন আল্লাহ তাআলা কাউকে ভালোবাসেন তখন তিনি হযরত জিবরাঈল আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ডাকেন এবং বলেন পৃথিবীর অমুক ব্যক্তিকে আমি ভালোবাসি তার আমলের কারণে, তার চিন্তা ধারণার কারণে, তার চলাফেরার বিশুদ্ধতার কারণে আমি তাকে ভালোবাসি… Read more: এমন চারটি আলামত যা থাকলে বুঝবেন আল্লাহ আপনাকে ভালোবাসে
- যাকাত ফরজ হওয়ার পাঁচটি শর্তইসলামের মৌলিক ৫ স্তম্ভের মধ্যে যাকাত এটিও একটি স্তম্ভ আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কে যেভাবে ফরজ মনে করি এবং যতটা গুরুত্ব দিই ঠিক ততটাই গুরুত্ব যাকাতেরও আছে পার্থক্য শুধু এতোটুকুই যে যাকাত দেওয়ার জন্য কিছু শর্ত আছে যারা যাকাত দিতে পারেন অর্থাৎ যাদের সামর্থ্য আছে যারা সেই নিয়ম গুলোর মধ্যে পড়ে তারা একমাত্র যাকাত দেয় বা তাদের উপরেই যাকাত ফরজ কিন্তু নামাজ সকলের জন্য ফরজ। যাকাত কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তিরাই দিতে পারে এজন্য আমরা বেশিরভাগ মানুষই এটা নিয়ে গুরুত্ব দিনা তবে আমাদের অজান্তেই এমনও হতে পারে যে আমি সেই যাকাতের ফরজ বিধান পালনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছি এখন আমি যদি এ বিষয়টা… Read more: যাকাত ফরজ হওয়ার পাঁচটি শর্ত
- যাকাত ফরজ হওয়ার বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাসালাআসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহপ্রিয় পাঠক আজ আমরা এমন একটি বিষয়ে আলোচনা করব যে বিষয়টি নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন থাকে যেহেতু আজকের আলোচনার বিষয়টি যাকাত সম্পর্কে সেহেতু যাকাত সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাসালার বিষয়ে আপনাদেরকে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। আমরা সকলেই জানি যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য স্বর্ণের অংশে সাড়ে সাত ভরি হওয়া লাগে এখন প্রশ্ন হল কারো কাছে যদি সাড়ে সাত ভরি এর কম স্বর্ণ থাকে এই পরিমাণ স্বর্ণ থেকে যেটা যাকাতের স্বর্ণের নেশাব পরিমাণ নয়, পাঁচ ভরি, তিন ভরি বা চার ভরি এক কথায় সাড়ে সাত ভড়ির থেকে কম যে কোন অংশ থাকে। এমতাবস্থায় তার কাছে যদি আবার নগদ টাকা থাকে… Read more: যাকাত ফরজ হওয়ার বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাসালা
- হজ্ব আগে না ওমরা আগে এবং হজ্ব ও ওমরার মধ্যে পার্থক্য কিআসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ! প্রিয় পাঠকআমাদের সকলেরই মুসলিম হওয়ার সুবাদে মহান আল্লাহর কাবা অর্থাৎ কাবা শরীফ দেখার এক অতুলনীয় ইচ্ছা সকলেরই মনের মাঝে থাকে কিন্তু সকলের আর্থিক অবস্থার দিকে চিন্তা করলে হয়তো সবাই হজ্ব পালনের সমর্থ্য আমরা রাখিনা কিন্তু ওমরা বা অনেকে যেটাকে ছোট হজ্বও বলে থাকেন এটি আদায় করার সামর্থ্য রাখি সেক্ষেত্রে অনেকেরই মনের মাঝে প্রশ্ন থাকে যে হজ্ব আদায়ের সমর্থ্য না থাকলে অথবা হজ্ব আদায়ের পূর্বে ওমরা আদায় করা যাবে কিনা অথবা হজ্বের টাকা জমানোর পূর্বে যদি ওমরাহ এর টাকা জমা করতে পারে তাহলে ওমরা পালন করা যাবে কিনা..? উত্তরে বলা যেতে পারে হজ্ব সকলের ওপরে ফরজ নয়।… Read more: হজ্ব আগে না ওমরা আগে এবং হজ্ব ও ওমরার মধ্যে পার্থক্য কি
- মহররম মাসের আমল এবং রোজামুহাররম মাস মহরম মাস হল হিজরি সন তথা আরবি বছরের প্রথম মাসের নাম। এবং এই মাস হিজরি সনের মধ্যে সবচাইতে মর্যাদাপূর্ণ মাস। মহরম শব্দের অর্থ হল সম্মানিত আমরা এভাবে বলতে পারি যে নামেই যার পরিচয় রয়েছে সেটি হলো মহররম মাস। এই মাসটিকে আল্লাহ মর্যাদা দিয়েছেন সম্মান দিয়েছে। একজন মুসলিম হিসেবে অবশ্যই আমাদের এই মাসের মর্যাদা রক্ষা করতে হবে। এই মাসটিকে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (শাহরুল্লাহ) তথা আল্লাহর মাস বলেছেন। এই পৃথিবীতে সবকিছুই আল্লাহ তালার বিশেষভাবে এটিকে আল্লাহর মাস বলার কারণ হলো এটার মর্যাদা কে গুণকে বোঝানো। প্রিয় নবী এই মহররমে বেশি বেশি নফল রোজা রাখার কথা বলেছেন তথা রমজানের… Read more: মহররম মাসের আমল এবং রোজা
- হালাল হারাম ফরজ ওয়াজিব সুন্নত এগুলোর হুকুম কিহালাল কিহালাল বলা হয় শরীয়তের দৃষ্টিতে যেসব বস্তু ব্যবহার করা বৈধ তাকে হালাল বলে। জায়েজ ও হালাল সমর্থ্য বোধক শব্দ এটার একই অর্থ বোঝায়। হারাম কিহারাম হলো হালাল এবং ফরজের বিপরীত অর্থাৎ যা নিষিদ্ধ হওয়াটা অকাট্য দলিল দ্বারা প্রমাণিত। হারামকে হালাল মনে করলে কাফের হয়ে যায় আর বিনা ও জুড়ে হারাম কাজ করলে কাফের হয় না তবে ফাসেক হয়ে যায়। হারাম কাজ ত্যাগ করা ফরজ। নাজায়েজ এবং হারাম একই অর্থ বোঝায়। ফরজ কি ফরজ বলা হয় আল্লাহর পক্ষ থেকে যে সকল বিধি-নিষেধ গুলো অকাট্য দলিল দ্বারা প্রমাণিত এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে কড়া আদেশ রয়েছে তাকেই ফরজ বলা হয়! যেমন: কালেমা… Read more: হালাল হারাম ফরজ ওয়াজিব সুন্নত এগুলোর হুকুম কি
- নাজাসাত বা নাপাকি কত প্রকার ও কি কিনাজাসাত বা নাপাকি দুই প্রকার:১. নাজাসাতে গলিযা অর্থাৎ যে নাপাকির হুকুম অধিক শক্ত।২. নাজাসাতে খফিফা অর্থাৎ যে নাপাকির হুকুম কিছুটা নরম। নাযাসাতে গলিজা কাকে বলে..? নাজাসাতে গলিযা বলা হয় যে সকল বস্তু মানুষের শরীর থেকে বের হয়ে গেলে ওযু নষ্ট হয় বা গোসল ফরজ হয় ওই সকল বস্তুকে না যার সাথে গলি যা বলে। যেমন: পায়খানা, প্রস্রাব, মনি, মজি, পুঁজ, মুখ ভর্তি বমি, হায়েজ, নেফাজ, এবং ইস্তেহাজার রক্ত নাযাসাতে গলিজা।এবং আমরা অনেকেই মনে করে থাকি যে বাচ্চা ছেলে-মেয়ের প্রস্রাব পায়খানা নাপাক না অথচ শিশু ছেলে বা মেয়ে উভয়েরই প্রস্রাব পায়খানা নাজাসাতে গলিযার মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত। সরাব, প্রবাহিত রক্ত, মৃত জন্তু যে… Read more: নাজাসাত বা নাপাকি কত প্রকার ও কি কি
- মাসয়ালা ফতোয়া ও তাহক্বীক কাকে বলেআসসালামু আলাইকুমপ্রিয় পাঠক আমরা সকলেই বিভিন্ন আলেম-ওলামা বা ইসলামিক স্কলারদের মুখে বা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে এ শব্দগুলো শুনে থাকি মাসয়ালা, ফতোয়া ও তাহক্বীক এ সকল শব্দগুলো আমরা প্রায় সচরাচর শুনে থাকি কিন্তু যেহেতু এগুলো আরবি পরিভাষা এজন্য আমরা অনেকেই এগুলোর বিষয়ে বুঝিনা যে কোনটাকে কি বলে তাই আজকে আমরা এই বিষয়টি জানবো। মাসয়ালা: মাসয়ালা বলা হয় কোন সমস্যা বা দাবি বা চাহিদা বা প্রশ্ন এগুলোকে বলা হয় মাসয়ালা। এরপর ফতোয়া: ফতোয়া বলা হয় কারো মত বা কারো রায় বা সিদ্ধান্তকে। অন্যভাবে বলতে গেলে যে ব্যক্তি তার প্রশ্ন বা সমস্যা আরেকজনের কাছে তুলে ধরে তাকে বলা হয় মাসালা এবং যে… Read more: মাসয়ালা ফতোয়া ও তাহক্বীক কাকে বলে
- যাকাত কাকে বলেযাকাত হল ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ রোকন। এবং মালের ওই নির্দিষ্ট অংশ যা আল্লাহর হুকুমে গরিব মুখাপেক্ষী ও অন্যদেরকে দিয়ে তাদেরকে সেই মালের মালিক বানিয়ে দেওয়া হয়। যাকাত শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো পবিত্রতা, পরিশুদ্ধতা ও বৃদ্ধি পাওয়া। যা প্রদান করলে মন এবং আত্মা পবিত্রতা লাভ করে এবং সম্পদের বৃদ্ধি ঘটে, এবং সম্পদ পরিচ্ছন্ন হয় তাকেই যাকাত বলে। আমরা জানি যে নামাজ রোজা ইত্যাদি হলো দৈহিক ইবাদত ঠিক তেমনি ভাবেই যাকাত হল আর্থিক ইবাদত।যাকাত ফরজ না ওয়াজিব এ সম্পর্কে অনেকেই আমরা জানিনা। আসলে যাকাত ফরজ। পবিত্র কোরআনের আয়াত ও প্রিয় নবীর হাদিস দ্বারা এটা প্রমাণিত। যে ব্যক্তি যাকাত ফরজ হওয়া অস্বীকার করে… Read more: যাকাত কাকে বলে
- হজ্ব কি এবং হজ্ব কাকে বলেআসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ প্রিয় পাঠক আজ আমরা জানবো হজ্ব কাকে বলে। হজ্ব শব্দটি আরবি শব্দ এর শাব্দিক অর্থ হলো القصد العراده অর্থাৎ ইচ্ছা পোষণ করা কোন মহৎ কাজের ইচ্ছা করা বড় কোন কাজের ইচ্ছা করা এটাই হলো হজ্ব। হজ্ব শব্দের اصطلاحي (ইস্তেলাহি) বা পারিভাষিক অর্থে হজ বলা হয়।الحج هو زياره كان مقصوص في وقت مقصوص لتقربي الى الله تبارك وتعالىহজ্ব হলো নির্দিষ্ট স্থানে ভ্রমণ করা في وقت مقصوص এবং নির্দিষ্ট সময়ে সে ভ্রমণটা করা এবং সেটার উদ্দেশ্য হতে হবে لتقربي الى الله عز وجل একমাত্র আল্লাহ তায়ালার রাজি খুশি ও তার নৈকট্য অর্জনের যেই ভ্রমণ তাকেই হজ্ব বলা হয়।
- রোজা রাখার উদ্দেশ্য কী? আমরা কেন রোজা রাখিপ্রিয় পাঠক আজ আমরা জানবো আমরা সিয়াম বা রোজা কেন রাখি। প্রিয় পাঠক আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালা আমাদেরকে যে সকল ইবাদত দিয়েছে প্রত্যেকটি ইবাদতেরই একটি লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য রয়েছে এবং সকল ইবাদতের মূল উদ্দেশ্য আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন এবং পরকালে জান্নাত হাসিল করা। তবে প্রত্যেকটি কাজেরই প্রাথমিক লক্ষ্য যদি আমরা অর্জন করতে সফল হয় তাহলেই আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে সফল হতে পারব অন্যথায় এটা সম্ভব না। এজন্য প্রত্যেকটা মুমিন এবং মুসলিমকে তার প্রাথমিক উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণা অবশ্যই রাখতে হবে। এখন আমরা যে সিয়াম, সোউম, বা রোজা যে যেটাই বলে থাকি না কেন আমরা যে এই রোজা রাখি এখানে একটা বিষয় অনেক দুঃখের হলেও… Read more: রোজা রাখার উদ্দেশ্য কী? আমরা কেন রোজা রাখি
- তিনটি এমন সময় যে সময় নামাজ পড়া মাকরূহআসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহপ্রিয় পাঠক আজ আমরা জানবো কোন কোন সময় গুলিতে নামাজ পড়া মাকরূহে তাহরিমি। প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোন আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা যে এমন কিছু সময় আছে যে সময় গুলিতে নামাজ পড়া নিষেধ।এক সূর্যোদয়ের সময় অর্থাৎ যখন সূর্য উদিত হয় তখন নামাজ পড়া মাকরূহ।দ্বিতীয় সূর্য যখন মাথার উপরে থাকে অর্থাৎ সূর্য যখন একদম মধ্যম আকাশে অবস্থান করে সে সময় নামাজ আদায় করা নিষেধ।তৃতীয়তঃ সূর্যাস্তের সময় অর্থাৎ সূর্য যখন অস্ত যায় সহজ ভাষায় বলতে গেলে সূর্য যখন ডুবে যায় সে সময় নামাজ আদায় করা নিষেধ। এই তিনটি সময় ব্যতীত অন্য যেকোনো সময়ে সালাত আদায় করা যেতে পারে।আল্লাহ তায়ালা… Read more: তিনটি এমন সময় যে সময় নামাজ পড়া মাকরূহ
- নামাজ কাকে বলেআসসালামু আলাইকুমপ্রিয় পাঠক আজ আমরা জানবো নামাজ কাকে বলে,ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে সালাত অর্থাৎ নামাজকে একটি সর্ব উত্তম ও সর্বজনীন ইবাদত হিসেবে গণ্য করা হয়েছে এবং এটাকে দ্বীনের খুটিও বলা হয়। নামাজ ছাড়া ঈমান টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। এ কারণে আল্লাহ তায়ালা বলেন তোমরা আমার স্মরণে নামাজ আদায় করো। নামাজ এটি একটি ফার্সি শব্দ এর আরবি প্রতিশব্দ হলো সালাত এবং এর আভিধানিক অর্থ হলো প্রার্থনা করা, তাসবিহ বা পবিত্রতা বর্ণনা করা, দরুদ পড়া, ক্ষমা প্রার্থনা করা ইত্যাদি। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় নির্দিষ্ট রোকন ও জিকির সময় সমূহ কে নির্দিষ্ট সময়ে বিশেষ পদ্ধতিতে আদায় করাকে নামাজ বা সালাত বলা হয়। প্রিয় পাঠক… Read more: নামাজ কাকে বলে
- ইসলামী শিক্ষা ও শিক্ষার সম্পদ:আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক আজ আমরা জানবো ইসলামিক শিক্ষার গুরুত্ব এবং শিক্ষা নামক মহামূল্যবান সম্পদ অর্জন।প্রিয় পাঠক পবিত্র কোরানে আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম যে কথাটি বলেছেন সেটি হল (ইকরা) অর্থাৎ পড়ো জ্ঞান অর্জন করো এর থেকে আমরা বুঝতে পারি ইসলাম জ্ঞানের ধর্ম প্রিয় পার্থ আমরা একবার ভেবে দেখি এই যে পড়ার কথা আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম বর্ণনা করলেন এটি কিন্তু ইসলামের অন্যান্য যে সকল বিষয় আছে নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত এ সকল বিষয়গুলোকে বাদ দিয়ে আল্লাহ পাক সর্বপ্রথমে পড়ার কথা বললেন তাহলে এখান থেকে বোঝা যায় যে ইসলাম জ্ঞানের ধর্ম ইসলাম জ্ঞানীদের ধর্ম ইসলাম পৃথিবীতে মুসলমানদেরকে জ্ঞানে শিক্ষায় এবং এলমে উন্নত ও… Read more: ইসলামী শিক্ষা ও শিক্ষার সম্পদ: