আমাদের সকলের জীবনে বা যদি বলি মানুষের জীবনের সবচাইতে মূল্যবান জিনিস কি তাহলে উত্তরে আপনি কি বলবেন! আমার মনে হয় মানুষের জীবনে সবচাইতে মূল্যবান জিনিস হল সময়, কেউ যদি সময়ের মূল্যায়ন করতে পারে তাহলে তার সব কিছুরই অন্যরকম একটা পথ হবে অন্যরকম একটা উপায় হবে। যেমন: আমি আপনি আজকে যে সময়টা কোন গুরুত্ব ছাড়া অযথাই নষ্ট করতেছি সেই সময়টা যদি আমি আপনি কোনো তাসবীহ পাঠ করতাম বা কোন নামাজ পড়তাম বা আল্লাহর এবাদত করতাম তাহলে পরকালে আল্লাহ আমাকে আপনাকে অবশ্যই জান্নাত দান করবেন। যেটা হবে আমাদের ইহকাল ও পরকালের সফলতা। এছাড়াও আল্লাহতালা নিজে সময়ের কসম করে একটি সূরা নাযিল করেন ( সূরা আল আসর ) এবং সেই সূরায় আল্লাহ তাআলা বলেন وَٱلْعَصْرِ আসর সময়ের কসম এক কথায় আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সময়ের কসম কেন করতেছেন, আপনাকে আমাকে সময়ের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য বর্তমানে আমাদের যে অবস্থা আমরা সময়ের কতটুকু মূল্য দি, কেউ যদি সময়ের মূল্য দিতে জানে তাহলে সে কি অযথা কোন সময় নষ্ট করতে পারে আমাদের জীবন থেকে যে সময়গুলো চলে গেছে সেই সময় গুলো আমরা কখনই আর ফিরে পাবো না আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে জন্ম থেকে নিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত যে সময়টুকু দিয়েছেন এর মধ্যে আমরা যে সময়টুকু অতিবাহিত করে ফেলেছি অকারণে অযথা নষ্ট করে ফেলেছি সে সময় গুলো আমরা আর ফিরে পাবো না।
তবে এতোটুকু হতে পারে আমরা যদি আল্লাহর কাছে চাই তাহলে তিনি যেহেতু গফুরুর রহিম, দয়াবান, ক্ষমাশীল, এজন্য তিনি আমাদেরকে মাফ করে দিতে পারেন। এমনকি এটাও করতে পারেন যে আমাদের জীবনে যত গুনাহ আছে সেগুলোকে নেকি দ্বারা পরিবর্তন করে দিতে পারেন। এজন্য আমাদের সকলকেই সময়ের মূল্যায়ন করতে হবে। আমরা যদি একটু ভেবে দেখি তাহলে আমরা বুঝতে পারবো যে, আমরা কিভাবে আমাদের প্রত্যেকটি দিন অতিবাহিত করতেছি আমরা কিন্তু একটু চেষ্টা করলেই পারি প্রত্যেকটা দিন কিছু সময় আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করা এমনটি নয় যে, সর্বদাই নামাজ পড়তে হবে, সারা বছর রোজা রাখতে হবে, ইসলামে এমন না আমাদের যিনি ধর্মগুরু বা আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি কিন্তু নামাজও পড়তেন রাতে ঘুমাতেনও তিনি পরিবারের ভরণ পোষণের দায়িত্ব পালন করেছেন তারো স্ত্রী সন্তান ছিল আবার তিনি যুদ্ধ জিহাদ ও করেছে। মূল কথা যেটা বলতেছিলাম সময়টাকে মূল্যায়ন করে প্রফেটিক লাইফ স্টাইল এটা বলা যতটা সহজ করাটা খুব কঠিন। রাতের ঘুমানো থেকে শুরু করে আবার পরের দিন রাতের ঘুম পর্যন্ত এই যে ২৪ ঘন্টা দিনরাত এটাকে আমরা এমন ভাবে সাজাই যাতে এর মধ্যে আমার এবাদত থাকে, নামাজ থাকে, তেলাওয়াত থাকে, পরিবারকে সময় দেওয়া থাকে, বাজার হাট করা থাকে, সন্তান প্রতিপালন থাকে, ব্যবসা-বাণিজ্য থাকে, সবকিছুকে ব্যালেন্স করে আমাদেরকে চলতে হবে আর যদি এভাবে চলতে পারি তাহলে আশা করা যায় আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের হাতেই ইসলামের পতাকা উড়বে ইনশাআল্লাহ। তালা আমাদের সকলকে এই কথা গুলির ওপরে আমল করার তৌফিক দিন। আমিন!