ধনী হওয়া সম্পদশালী হওয়ার আমল

দোয়া আমল

আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হিসেবে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তবে প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যে ভালো ও খারাপ ইত্যাদি গুণ রয়েছে। মানুষ হিসেবে প্রত্যেকের চাহিদাও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে তবে মানুষ দেখতে যদিও বা কেউ কালো কেউ ফর্সা কেউ ছোট কেউ বড় বিভিন্ন আকৃতির বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে কিন্তু সকলেই মানুষ আর সকলেই আল্লাহর সৃষ্টি কুলের সর্বশ্রেষ্ঠ। পৃথিবীতে মানুষ যদিও ক্ষণস্থায়ী ভাবে বসবাস করছে কিন্তু আমরা অনেকেই পরকাল এর চেয়ে ইহকালকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। কিন্তু প্রত্যেকের চাহিদা অনুযায়ী টাকা-পয়সা ধন-সম্পদ ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণে প্রয়োজন হয়ে থাকে। আমাদের সৃষ্টিকর্তা, রিজিকদাতা যেহেতু একমাত্র আল্লাহ তাই আমাদের সকল চাওয়া একমাত্র আল্লাহর নিকট থেকেই সম্পূর্ণ হতে পারে, এছাড়া পৃথিবীতে আর কেউ নেই যে আল্লাহর বিপরীতে আমাদের সকল চাওয়া পাওয়াকে পূরণ করবেন। আমাদের মধ্যে অনেকেই আর্থিকভাবে ঋণী বা আর্থিক সংকট ভোগ করছেন এমন অনেকেই রয়েছে।

আজকে তাদের উদ্দেশ্যে একটি এমন দোয়া বা আমল বলার চেষ্টা করব যে আমল করলে অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা আমলকারীকে সচ্ছলতা দান করবেন। তবে প্রথমে আমাদের এটা বুঝতে হবে যে ধনী হওয়া বা সম্পদশালী হওয়া অথবা বিত্তবান হওয়া এই সকল কিছুই প্রত্যেকটা মানুষের কাছে বিভিন্ন পরিমাণে বিভিন্ন স্তরের হয়ে থাকতে পারে। তাহলে প্রথমে আমাকে আপনাকে বুঝতে হবে আসলে ধনী হওয়া বা সম্পদশালী হওয়া কাকে বলে। আমরা একটু ভেবে দেখার চেষ্টা করি আসলে ধনী হওয়ার ডেফিনেশন টা কি..? প্রত্যেকটি মানুষের প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী ধনী হওয়ার ডেফিনেশন ভিন্ন রকম যেমন একজন রিসকা ওয়ালা নিম্ন আয়ের ব্যক্তি তার কাছে ধনী হওয়ার ডেফিনেশন হলো তার ছোটখাটো একটি ব্যবসা হওয়া যার মাধ্যমে সে কিছু অধিক পরিমাণে লাভবান হতে পারবে এবং সঠিকভাবে পরিবার নিয়ে খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারবে। আর যার এই পরিমাণ জিনিস রয়েছে তার কাছে ধনী হওয়ার ডেফিনেশন হলো কিছু জমি জামা ক্রয় করা একটি বাসা বানানো ইত্যাদি। আর যার এই পরিমাণ জমি রয়েছে বাসা রয়েছে তার কাছে ধনী হওয়ার ডেফিনেশন হলো সুন্দর বাসা হওয়া কিছু গাড়ি হওয়া এবং সঠিকভাবে জীবন পরিচালনা করা কিছু টাকা পয়সা ব্যাংকে রাখা।

আর যার এই সুন্দর ফ্ল্যাট আছে ব্যাংকে টাকা আছে এবং দুই একটা গাড়ি আছে। এই ব্যক্তির কাছে ধনী হওয়ার ডেফিনেশন হলো একটা বাড়ি আছে দুইটা বাড়ি হওয়া দুইটা গাড়ি আছে চারটা গাড়ি হওয়া। ২৪ বিঘা জমি আছে এটাকে ১০-১৫ বিঘা বানানো। এভাবে ব্যক্তি হিসেবে ও তার স্তর হিসেবে আমাদের চাহিদা আমাদের প্রয়োজনীয়তা বাড়তে থাকে। তাহলে আসলে বলতে গেলে আমরা সকলেই ধনী তবে আমরা সেটা বুঝতে পারি না বা উপলব্ধ করি না। কারণ আমার কাছে যদি একটি বাড়ি একটি গাড়ি সামান্য কিছু সম্পদ থাকে তাহলে আমি ওই ব্যক্তির কাছে বিদ্যমান আমি ওই ব্যক্তির কাছে ধনী যে ব্যক্তির এগুলো নেই তাই আমাদের এ বিষয়টি বোঝার প্রয়োজন যে আসলে আমি ধনী না গরিব বা আমার কি প্রয়োজন। আমরা একটু লক্ষ্য করলে আমাদের আশেপাশে এমন অনেক জনকে দেখতে পাবো যারা আমাদের দৃষ্টিতে অধিক সম্পদশালী কিন্তু তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে বা নিকটতম সম্পর্ক থাকলে আপনি অবশ্যই জানতে পারবেন যে তার এটা প্রয়োজন ওটা প্রয়োজন এমনকি কিছু চাকরিজীবী এমন পাবেন যারা মাসে এক লাখ টাকা পর্যন্ত কষ্টকর হয়ে যায়।

আবার কিছু ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইজ এমন পাবেন যারা আপনার সাথে নিকটতম সম্পর্ক থাকলে কখনো কখনো আপনাকে এভাবেও বলবে যে এই মাসে আমি আমার অর্কারদের কর্মচারীদের কিভাবে মাইনে দেব সেটা ঠিক করতে পারছি না। পক্ষান্তরে আপনি আপনার আশেপাশেই আরো একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন কিছু মানুষ এমনও আছে যারা দিন আনে দিন খায় ডাল ভাত খায় কিন্তু তারা কোন টেনশনে নেই তারা সুখে শান্তিতে জীবন পার করে দিচ্ছে। তাই আমার কি প্রয়োজন কতটুকু কি থাকলে আমি সুখে থাকব সেটাই আমার কামনা হওয়া উচিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে কোন দোয়া ই এমন বর্ণিত নেই যে তিনি বলেছেন হে আল্লাহ তুমি আমাকে টাকা দাও হে আল্লাহ তুমি আমাকে সম্পদ দাও বরং তিনি এভাবে দোয়া করেছেন اللهم اني اسالك العافيه في الدنيا والاخره আল্লাহ আপনার কাছে সুখ চাই শান্তি চাই সুস্থতা চাই দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতা চাই।

এখন আপনার সুখ আপনার শান্তি সেটা কি পরিমান সম্পদে বা কি পরিমান টাকা-পয়সা আপনার হলে আপনি সেটা পাবেন একমাত্র আল্লাহ ভাল জানেন তাই এটা আল্লাহ কে ই নির্ধারণ করতে বলা উচিত। যদি আপনি আমি কোন জিনিস নির্দিষ্ট করে বলে ফেলি তাহলে সেটা আমার জন্য ভালো কি খারাপ তা আমি জানিনা আর আল্লাহ যেহেতু আমাদের ভালো-মন্দ সকল বিষয়ে জ্ঞান রাখেন তাই আল্লাহকে ওইভাবে বলা যাতে করে প্রত্যেকটি বিষয়ে আমার ভালো হয় আমার সফলতা আসে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের রিজিকের দায়িত্ব নিয়েছেন তাই সকল বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই আমাদের কোনটা ভালো ও কোনটা মন্দ এবং কোনটা আমার প্রয়োজন সে বিষয়ে জ্ঞান রাখেন তাই আমাদের প্রত্যেকটি বিষয়ে আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা করা উচিত। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে এ সকল বিষয়ে আমল করার তৌফিক দিন আমিন।