কুরবানীর পশু জবাই করার সঠিক নিয়ম ও দোয়া

দোয়া

আমরা অনেকেই জানি সহি বুখারী এবং মুসলিমের মধ্যে বর্ণনা এসেছে যে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নিজের কোরবানির পশু নিজেই জবেহ করতেন এর থেকে আমরা নিজের কোরবানির পশু নিজেই জবে করার দিকে উৎসাহ পাই। এরপরও আমরা অনেকেই নিজের কোরবানির পশু নিজ হাতে জবের করতে সাহস পায় না এর একটি মূল কারণ হলো আমরা কোরবানি করার সঠিক নিয়ম জানি না যদিও বিষয়টি অত্যন্ত সহজ একটি বিষয় কুরবানীর পশু জবেহ করার ক্ষেত্রে দুইটি বিষয় যদি আপনি খেয়াল করে আদায় করতে পারেন তাহলেই আপনার কোরবানি বিশুদ্ধ হয়ে যাবে আপনার যবেহ বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।

এরমধ্যে প্রথম বিষয়টি হলো আপনি বিসমিল্লাহ বলে যবেহ শুরু করবেন এটা একটি জরুরী বিষয় আল্লাহ ছাড়া আর কারো নামে যেন কোরবানির শুরু না হয় সেটা অবশ্যই খেয়াল রাখবেন এবং বিসমিল্লাহ বলে যবেহ শুরু করবেন এবং জবেহ এর সময় আপনি খেয়াল রাখবেন যেন কোরবানির পশুর খাদ্যনালী শ্বাসনালী এবং দুই পাশে থাকা দুইটি চিকন নালী এই নালী গুলো কাটা হল আপনার জন্য জরুরী এই নালী গুলো কাটা হলেই আপনার কোরবানি বিশুদ্ধ হয়ে গেল এরপরে আপনি কোরবানির জন্য জবেহ করতেছেন না আকিকার জন্য জবেহ করতেছেন সেটা তো আপনার মনের মধ্যে আছেই। এতোটুকু নিয়ম কুরবানী বা যবেহ বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য জরুরী এরপরেও কোরবানির আগে পরে কিছু দোয়া রয়েছে এবং কিছু নিয়ম রয়েছে। এরপরও যদি পরিপূর্ণ পদ্ধতি বলতে চাই তাহলে বলতে হবে সর্বপ্রথম ছুড়ি বা চাকুটা বেশ ধারালো করে নিতে হবে, এরপরে আমাদের যা করতে হবে সেটা হল পশুকে তার বাম পাশ করে শোয়াতে হবে। এভাবে শোয়াল শোয়াইতে সুবিধা হয় এবং তার পাগুলোও কিবলার দিকে থাকে না। এরপরে একটি দোয়া পড়তে হয় যেটি নিয়ে ওলামায়ে কেরামদের মধ্যে ওই হাদিসের সনদ নিয়ে মতভেদ রয়েছে কেউ সুন্নি বলেছেন কেউ গায়রে সুন্নি বলেছেন।

এরপর যে বিষয়টি আপনি খেয়াল রাখবেন সেটি হল যবেহ এর সময় অবশ্যই আপনি বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার বলবেন এরপরে (আল্লাহুম্মা মীনকা অলাক) এটি বলাও কোন কোন হাদিস দ্বারা প্রমাণিত এটুকু বলেই আপনি ছুরিচালনা শুরু করবেন।‌ এবং যবেহ করা শেষে যদি নিজের পশু নিজেই জবহ করে থাকেন (আল্লাহুম্মা তাকাব্ব্য হু মিন্নি) এটা না বললেও কোন অসুবিধা নেই তবে বলাটা উত্তম আর যদি আপনি অন্যের পশু জবেহ করে থাকেন তাহলে আপনি বলবেন (আল্লাহুম্মা তাকাব্বালহু মিন এরপরে তার কথা উল্লেখ করবেন। এটি আপনি বাংলাতেও বলতে পারবেন। এছাড়াও আমাদের কোরবানির ক্ষেত্রে যে বিষয়টি লক্ষ্য করা উচিত সেটি হল কোরবানি করার পরে যেন, কোরবানির পশুর রক্ত ইত্যাদি এগুলো কোনভাবেই কোন জায়গায় পড়ে না থাকে। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে উপরোক্ত বিষয়গুলির উপরে আমল করার তৌফিক দিন। আমিন!